Tuesday, January 17, 2017

(অপবাদের জবাব,প্রশ্নঃ৩) ডঃ জাকির নায়েক নাকি বলেছেন কোরআনে ব্যাকারণগত ভুল আছে । আসলে কি তাই ?


 আসসালামুয়ালাইকুম ওরাহমতুলল্লাহি ওবারাকাতু
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

(অপবাদের জবাব,প্রশ্নঃ৩) ডঃ জাকির নায়েক নাকি বলেছেন কোরআনে ব্যাকারণগত ভুল আছে । আসলে কি তাই ?

উত্তরঃ কোরআনে ব্যাকারনগত ভুল আছে এই কথা ডাঃ জাঁকির নায়েক বলতেই পারেন না। বরং, আমেরিকাতে ডাঃ উইলিয়াম ক্যাম্পবেল এর সাথে বিতর্ক করার সময়ে ডাঃ জাকির নায়েককে এক অমুসলিম প্রশ্ন করেছিলেন, তার প্রশ্ন ছিলঃ “ডাঃ জাঁকির নায়েক আপনি বলেছেন কোরআনে কোন ভুল নেই কিন্তু আমি দেখছি যে এতে ২০ টিরও অধিক আরবি ব্যাকারনগত ভুল রয়েছে। আমি এর মধ্য থেকে কয়েকটি উল্লেখ্য করতে চাই যেমন সুরা বাঁকারা ও সুরা হাজ্জ এ বলা হয়েছে- ‘আসাবিউন’ কিংবা ‘আসাবিরীন’ এটা ১ নম্বর ভুল। ২য় ভুল হচ্ছে, আপনি বলেছেন, প্রায় একই বিষয় যা সুরা ত্ব-হা’র ৬৩ নং আয়াতে রয়েছে এটাও ভুল। এটি কি আপনি ব্যাখ্যা করতে পারেন? আর সেখানে রয়েছে আর মারাত্মক ভুল” এর উত্তরে ডাঃ জাকির নায়েক বললেনঃ “আমার ভাই একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করেছেন। আমাকে আর অধিক যথার্থ হতে হবে।তিনি ২০টি ব্যাকারনগত সমস্যার কথা বলেছেন।আর তিনি সম্ভবত আব্দুল ফাঁদির রচিত বই থেকে উল্লেখ করেছেন,বইটা কি সঠিক? কোরআন কি ভুল-ভ্রান্তির উর্ধে নয়? ” এখানে আমি ২০ টি প্রশ্নেরই উত্তর দিব কারণ আমি উল্লেখিত বইটি পরেছি। প্রথম বিষয়ে টি হচ্ছে সমস্ত আরবি ব্যাকারনই কোরআন কে সংকলিত। আর কোরআন হচ্ছে উচ্চমানের আরবি বই। এটি এমন একটি বই যেখানে সর্বচ্চমানের সাহিত্য সন্নিবেশিত রয়েছে। যেহেতু কোরআন হচ্ছে আরবি ব্যাকারনের নিদর্শন আর সকল আরবি ব্যাকারনই পবিত্র কোরআন থেকে সংকলিত সেহেতু এখানে(কোরআনে) কোন ভুলই থাকতে পারে না। আরবের অঞ্চল ভেদে শব্দের পরিবর্তন রয়েছে যেমন কোন অঞ্চলে যেই শব্দ পুরুষবাচক অন্য অঞ্চলে তা স্ত্রীবাচক। আরবের অঞ্চলভেদে ভাষার পরিবর্তন বিদ্যমান। সুতরাং আপনি কি ভুলকৃত ব্যাকারন দিয়ে কোরআন যাচাই করবেন? কখনই না।(রচনা সমগ্র;পৃ-৮৯,খণ্ড-১,অধ্যায়-২,কোরআন ও বাইবেল। লেকচারঃ Quran & Bible In The Light Of Mordern Science,Questions & Answers Session) ডাঃ জাকির নায়েকের এই কথার মাধ্যমেই প্রমাণ হয় তিনি কোরআনকে নির্ভুল মানেন। আর কোরআনে ব্যাকারনগত ভুল আছে এই কথা ডাঃ জাকির নায়েক বলেছেন বলে কথাও আমি পাইনি এবং ইনশা আল্লাহ পাবোও না।

Sunday, January 8, 2017

(অপবাদের জবাব,প্রশ্নঃ২) ডঃ জাকির নায়েক নাকি রাম আর অর্জুনকে নবী বলেছেন (নাউজুবিল্লাহ)। আসলে কি তাই ?


 আসসালামুয়ালাইকুম ওরাহমতুলল্লাহি ওবারাকাতু
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

(অপবাদের জবাব,প্রশ্নঃ২) ডঃ জাকির নায়েক নাকি রাম আর অর্জুনকে নবী বলেছেন (নাউজুবিল্লাহ)। আসলে কি তাই ?

উত্তরঃ ডাঃ যাকির নায়েক কখনই এই কথা বলেন নাই যে রাম আর অর্জুন নবী, বরং তিনি বলেছেন তারা নবী হতেও পারে আবার নাও হতে পারে।কারণ কোরানে শুধু মাত্র ২৫ জন নবীর নাম বলা হয়েছে।(লেকচারঃ ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের মধ্যে সাদৃশ্য/প্রধান ধর্ম গুলতে স্রষ্টার ধারনা) রাসুলুল্লাহ(সা) এর হাদিস অনুসারে পৃথিবীতে প্রায় ১ লক্ষেরও বেশী নবী এসেছেন। এর মধ্যে কোরআনে ২৫ জন নবীর নাম এসেছে। রাম আর অর্জুন এর কিছু কাজ নবীদের কাজের সাথে মিলে। তাই ডাঃ যাকির নায়েক বলেছেন রাম আর অর্জুন নবী হতে পারেন আবার নাও হতে পারেন। কিন্তু আমরা(মুসলিমরা) কখনই রাম আর অর্জুন এর উপর নবী হিসাবে ঈমান আনব না। কারন তারা নবী বলে প্রমানিত নয়।

Thursday, January 5, 2017

যে ৮ টি বিষয় আপনার দাম্পত্য জীবনকে অশান্তিময়, দুর্বল এবং অকার্যকর করতে থাকে


 আসসালামুয়ালাইকুম ওরাহমতুলল্লাহি ওবারাকাতু
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

[[Share করে সাদাকায়ে জারিয়া লাভ করুন]]
যে ৮ টি বিষয় আপনার দাম্পত্য জীবনকে অশান্তিময়, দুর্বল এবং অকার্যকর করতে থাকে:
১) খারাপ ব্যবহার করা : তাকে এমন কিছু নিয়ে ঠাট্টা করা যাতে সে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এমন ধমক দেয়া যা অন্যদের সামনে তার অসম্মান হয়ে যায়। তাকে অপমান করা আপনার প্রতি তার শ্রদ্ধাবোধকে কমিয়ে দিবে।
২) উপেক্ষা করা : তার পছন্দ, ভালোলাগা কিংবা তার কথাবার্তাকে গোণায় না ধরা বা পাত্তা না দেয়া। হয়ত সে সালাম দিয়েছেন আপনাকে, আপনি উত্তর দিলেন না। বেশ কিছুদিন যাবৎ খুব আগ্রহ নিয়ে হয়ত সে কিছু বলছে কিন্তু আপনি বিশেষ কারণ ছাড়াই তার কথার পাত্তা দিচ্ছেন না।
৩) মিথ্যা বলা : কিছুতেই মিথ্যা বলা সঠিক নয়। আল্লাহ মিথ্যাকে নিষিদ্ধ করেছেন। আল্লাহ আমাদেরকে শয়তানের এই ওয়াসওয়াসা থেকে রক্ষা করুন। মিথ্যা আপনাদের পারস্পারিক বিশ্বাসকে ভেঙ্গে চুরমার করে দিবে।
৪) কথা দিয়ে কথা না রাখা : কথা দিয়ে কথা রাখা বা ওয়াদা রক্ষা করা একজন মু’মিনের বৈশিষ্ট্য। বিষয়টি দাম্পত্য সম্পর্কের ক্ষেত্রেও খুব গুরুত্বপূর্ণ।
৫) এড়িয়ে চলা : অনেকদিন পর দেখা হলে বন্ধুদেরকে বা ভাইদের আমরা জড়িয়ে ধরি, কোলাকুলি করি। আপনার স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরতে পারেন না? পারবেন, অস্বস্তি লাগলেও তা ভেঙ্গে ফেলুন। ভালোবাসার প্রকাশ থাকা খুবই প্রয়োজন।
৬) সন্দেহ ও গীবত করা : কখনো সন্দেহ করতে যাবেন না। সন্দেহ সম্পর্ককে ধ্বংস করে। আপনার জীবনসঙ্গী আপনার খুব কাছের মানুষ এটা সত্যি। কিন্তু খুঁতখুঁত করে যদি তার বিষয়ে অনেক ঘাঁটাঘাঁটি করেন, আপনি নিঃসন্দেহে হতাশ হবেন। মানুষ কখনো নিখুঁত নয়। আর মনে রাখবেন, প্রত্যেকে তার নিজ নিজ হিসাব দিবে। তাই সন্দেহ দূর করুন। স্বামী বা স্ত্রী একে অপরের চাদরস্বরূপ, ছোট-খাটো ভুলত্রুটি বা সীমাবদ্ধতা নিয়ে অন্যদের কাছে বলে বেড়াবেন না, গীবত করবেন না।
কুরআনুল কারীমে আল্লাহ বলেছেন :
“হে মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তারা মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু।” — [আল হুজুরাত, ৪৯ : ১২]
৭) খুব বেশি ব্যস্ততা : অপরজনের জন্য কিছু সময় রাখবেন। পারস্পরিক কথাবার্তা আর সময়গুলো সম্পর্ককে প্রগাঢ় করে। তার প্রতি আপনার কর্তব্য রয়েছে, আপনার কিছু দায়িত্ব রয়েছে। কিছুটা সময় তিনি পাওয়ার অধিকার রাখেন। এই বিষয়টি খেয়াল রাখুন।
৮) সালাত এবং অন্যান্য ইবাদাত না করা : যে ব্যক্তি আল্লাহর ইবাদাত না করে, নামাজ না পড়ে এবং আল্লাহর নির্দেশিত পথে না চলে, আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট নন। নিয়মিত নামাজ না পড়া, অশ্লীল কাজ, হারাম উপার্জনগুলো থেকে সরে না আসার কারণে অনেক সংসার ভেঙ্গে গেছে। আল্লাহর প্রতি কর্তব্য পালনে অলসতা-উপেক্ষা করার কারণে মুসলিম সংসারে অত্যন্ত দ্রুত ভাঙ্গন ধরে যায়।
আল্লাহ আমাদেরকে ভুলত্রুটি ক্ষমা করুন এবং আমাদের সরল সঠিক পথে পরিচালিত করুন। আমাদের পরিবারগুলোতে রাহমাত এবং বারাকাহ দান করুন।

সংগৃহীত ঃAnNur Islamic Marriage Media  পোষ্ট