আসসালামুয়ালাইকুম ওরাহমতুলল্লাহি ওবারাকাতু
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
একজন নাস্তিক যদি একজন পীর কে জিজ্ঞেস করে-
আচ্ছা, আপনাদের কুরআনে তো আছে হজরত ঈসা (আ) কোন প্রকার পুরুষের সংস্পর্স ছাড়াই হজরত
মরিয়ম (আ) এর গর্ভে আসেন এবং এটা আপনারাও বিশ্বাস করেন।
কিন্তু চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে এটা সম্পুর্ণ অবৈজ্ঞানিক এবং অসম্ভব।
এর উত্তরে আপনি কি বলবেন?
একজন নাস্তিকের এই প্রশ্নের উত্তরে পীর সাহেব বড়জোর বলবে- যেহেতু এটা কুরআনে আছে,তাই আমরা
এটা বিশ্বাস করি।এর বেশী কিছু আমি জানিনা"
এরকম উত্তর পেলে নাস্তিকটার স্পর্ধা আরও বেড়ে যাবে এবং সে ইসলামকে নিয়ে আরও অনেক বেশী কটুক্তি করবে…
কিন্তু হাজার হাজার মানুষের সামনে এই প্রশ্নটা ডাঃ জাকির নায়েককে করেছিল।
ডাঃ জাকির উত্তর দিয়েছিল- পুরুষের সংস্পর্শ ছাড়া সন্তান জন্মাতে পারেনা সেটা ছিল চিকিৎসাবিজ্ঞানের পুরনো তত্ব।
বর্তমানে চিকিৎসাবিজ্ঞান এক ধরনের স্ত্রী মৌমাছির সন্ধান পেয়েছে যারা পুরুষ মৌমাছির কোনরূপ সংস্পর্শ
ছাড়াই ডিম দেয় এবং ওই ডিমে তা দিয়ে বাচ্ছা মৌমাছির জন্ম দেয় কিন্তু পুরো
বিষয়টাতে পুরুষ মৌমাছির কোন ভুমিকা নেই।
এরকম একটি কাজ আল্লাহ একটি ক্ষুদ্র প্রানীর দ্বারা করতে পারলে মানুষের দ্বারা কেন করাতে পারবেনা?
নাস্তিকটি যদি পীর সাহেবকে জিজ্ঞেস করে - আচ্ছা,আপনারা বলেন আল্লাহ এক কিন্তু কুরআনে অনেক জায়গায়
আছে - " অতঃপর আমরা মুসাকে পাঠিয়েছি তার কওমের কাছে"
এখন আল্লাহ যদি একজন হন তাহলে এখানে " আমরা" শব্দ আসল কেন?
" আমরা " মানে তো একজন কে বোঝায় না।
তাহলে কুরআনে কি ভুল আছে?
এই প্রশ্নের উত্তরে পীর সাহেব হয় চুপ থাকবেন না হলে আগের মত উত্তর দিবে।
কিন্তু জাকির নায়েককে এরকম প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তর দিলেন -
" প্রচলিত আরবী ব্যাকরণ দিয়ে কখনো কুরআনকে বিশ্লেষণ করা যাবেনা কারণ কুরআনের ব্যাকরণ প্রচলিত
আরবী ব্যাকরণের চেয়ে অনেক উন্নতমানের।
এই ব্যাকরণ দিয়ে কুরআন বিশ্লেষণ করলে আপনার মনে হবে কুরআনে ভুল আছে।
যেমন আপনি নিউটনের মহাকর্ষ -অভিকর্ষের সুত্র দিয়ে আইনস্টাইনে E=mc2 প্রুফ করতে পারবেন না।
আইনস্টাইনের E=mc2 প্রুফ করতে হলে আপনাকে আইনস্টাইনের আবিষ্কৃত তত্ব দিয়েই করতে হবে।
কুরআনের " আমরা " শব্দের অর্থ এই নয় যে আল্লাহ অনেকজন।
এখানে " আমরা" বলতে মূলত " আমি" শব্দের উপর ব্যাপকভাবে জোর দেওয়া হয়েছে যেটাকে
ইংরেজীতে " রয়াল প্লুরাল" বলা হয়।
এটা দ্বারা বহুবচনকে ইঙ্গিত করেনা,বরং একবচনের উপর স্ট্রংলী জোর দেওয়া হয়।
এই রয়াল প্লুরালটা মহাত্মা গান্ধীও ব্যবহার করতেন তার কথায়।
উত্তর পেয়ে উইলিয়াম ক্যাম্পবেল একদম চুপ।
এভাবে যিনি ইসলামের শাশ্বত প্রমান করে
যাচ্ছেন বিশ্ববাসীর সামনে তাকে আজ কাফের, ভ্রান্ত, ইহুদীদের দালাল ট্যাগ দিচ্ছে এদেশের
খানকা পাহারাদার পীর সাহেবরা।
No comments:
Post a Comment